শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ জামদানি শাড়ি তৈরির কারখানায় একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে তারা হয়ে উঠেছেন শাড়ি বুননের কারিগর। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সদর ইউপির ইটবাড়িয়া এলাকায় রুবেল হাসান বাবুর অনুপ্রেরণায় ইমন, জুম্মান, রাসেল, হৃদয়, আজিজুল ও কাওসার জামদানি শাড়ি তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন।
দীর্ঘ ৪ বছর নারায়ণগঞ্জের একটি জামদানি শাড়ি তৈরির কারখানায় একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে তারা হয়ে উঠেছেন শাড়ি বুননের কারিগর। তাদের সবার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কচুরিয়া গ্রামে।
জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকার ডেমরায় জামদানি পল্লীর তাঁতীদের আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়। তবে মেধা ও পারিশ্রমিকের অভাবের কারণে বর্তমানে তাঁতীরা আর এ পেশায় আসতে চাইছেন না। কয়েক বছর আগে ঢাকার মিরপুরে জামদানি পল্লী স্থাপিত হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জামদানির চাহিদা এখনো রয়েছে। বর্তমান বাজারে জামদানির উচ্চমূল্য ও বিপুল চাহিদার কারণে বাংলাদেশের এই শিল্পে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গলাচিপা উপজেলার ইটবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা ইমনের ভগ্নিপতি জামদানি কারখানার প্রধান কারিগর। তার সুবাদে এই এলাকায় তারা জামদানি শাড়ি তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। মাত্র ৫ মাস আগে কারখানার যাত্রা শুরু করেন। এ ক্ষুদে কারিগররা শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ৬ দিনে ৩ টি শাড়ি তৈরি করতে পারেন। উৎপাদিত শাড়ি বিক্রি করে ৬০০-৭০০ টাকা লাভ হয়।
কারখানার মালিক রুবেল হোসেন বাবু বলেন, বিয়ে করছি ময়মনসিংহে। আমার স্ত্রীর ছোট ভাই ঢাকায় একটি জামদানি শাড়ির কারখানায় কাজ করতো। সে বলল, নিজের কাজ করব অন্য মালিকের কাজ করব না। আমার ছোট একটি গরুর ঘর ছিল তাতেই ঠিকঠাক করে জামদানি শাড়ি কারখানা শুরু করলাম।
শাড়ি বুননের কারিগর ইমন বলেন, ২ সপ্তাহে ৩ টি শাড়ি তৈরি করতে পারি। ১ টি শাড়ির দাম ৫০০০ টাকা। ৬ টি শাড়ি ঢাকা পাঠালে ৩০ হাজার টাকা পাই। একটি শাড়ি তৈরি করলে কর্মচারীদের মজুরি দেই এক হাজার টাকা। কারখানায় ৬ জন কর্মচারী কাজ করে। তাদের মাসে ৭ হাজার টাকা মজুরি দেই। সবকিছু মিলিয়ে মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় থাকে।
ইউএনও আশিষ কুমার বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। প্রয়োজনে আরো লোকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কারিগর তৈরি করা হবে। এছাড়া এলাকার বিত্তবানদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত। উৎপাদন ও পরিধি বাড়াতে প্রয়োজনে সরকারি সহায়তা দেয়া হবে।
Leave a Reply